বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের পাঁচটি অভ্যাস
রাতে জেগে থাকার অভ্যাস:
আপনি প্রত্যেকের বায়োগ্রাফি যদি পড়েন তাহলে লক্ষ্য করবেন প্রায় প্রত্যেকেই তার বায়োগ্রাফি তে এটা লিখে গেছেন যে সকল সারারাত জাগতে পছন্দ করতেন। ভোরবেলা ওঠো অপেক্ষার রাত জেগে কাজ করা পড়াশোনা করা গল্প করা বা আগামী দিনের কথা বা জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধানের কথা ভাবা পছন্দ করেন। জিনিয়াস ব্যক্তিরা বেশিরভাগ ইতিহাস সাক্ষী আছে প্রত্যেকটি প্রতিভাবান মানুষই অনিদ্রায় ভোগেন। এবং তারা বেশিরভাগ তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বা ভাবনা-চিন্তার কাজ রাতের নিরিবিলি পরিবেশে করতে পছন্দ করতেন।
বিজ্ঞান বা রাজনীতি বা খেলাধুলা হোক বা সংগীত বা অন্য কিছু বিষয় আপনি খুব মহান ব্যাক্তিদের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষ্য করবেন তারা প্রত্যেকেরই ঘুমোনোর অভ্যাস ছিল না। তারা বেশিরভাগ সময় আবেগ এবং তারা চিন্তা ভাবনার মধ্যে কাটাতে পছন্দ করতেন। এমন কিছু চিন্তা বা কিছু নতুন তৈরি চিন্তা যা তাদেরকে ঘুমোতে দিত না।
নিকল টেসলা বা লিওনার্দো দা ভিঞ্চি প্রত্যেকের রাতে কিন্তু খুব কম ঘুমোতেন।নিকল টেসলা, যার দৌলতে এখন ইলেকট্রিক বাল্বে এসেছে তিনিও কিন্তু সারা দিনে মাত্র দু থেকে তিন ঘন্টা ঘুমাতেন।
খুব সাধারণ জিনিস ভুলে যাওয়ার অভ্যাস:
খুব সাধারণ জিনিস ভুলে যাওয়ার অভ্যাস। এই সমস্ত লোকেরা খুব বড় বড় জিনিস নিয়ে সবসময় চিন্তা ভাবনার মধ্যে মগ্ন থাকেন, তাই অনেক সময় খুব ছোটখাটো জিনিস যেমন চাবি কোথায় ফোন কোথায় এই সমস্ত জিনিস গুলো ফুলে যেতে থাকেন। এটা জেনে খুব অবাক হবেন যে বেশিরভাগ লোকেরই ভুলে যাওয়া অভ্যাস ছিল। সকল প্রতিভাবান ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মনে রাখতে গিয়ে খুব ছোটখাটো বিষয়গুলোকে ফুলতে শুরু করেন। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, আইনস্টাইনের কিন্তু ভুলে যাওয়ার অভ্যাস ছিল। তিনি অনেকবার এমন হয়েছে তিনি গাড়িতে বসে তিনি তাঁর বাড়ির ঠিকানা বলতে ভুলে গেছিলেন। স্মৃতিশক্তি অন্যদিকে কাজে লাগানোই অনেক সময় খুব অফ তুলনামূলক অপ্রয়োজনীয় বা কম গুরুত্বপূর্ণ জিনিস গুলি তারা ভুলতে শুরু করেন।
ঘুমোনোর আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় চিন্তা করা:
সাধারণত এই প্রকৃতির মানুষগুলো ঘুমোনোর আগে যখন প্রকৃতি শান্ত থাকে নিরিবিলি থাকে তখন একাকীত্ব বসে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেন। এবং এটাও জিনিয়াস হওয়ার একটি বৈশিষ্ট্য। ঘুমানোর আগে ভাবনা চিন্তা করা তাদের অভ্যাস থাকে সাধারণ মানুষ বিছানায় পড়েই শুয়ে পড়েন কিন্তু এই ধরনের মানুষগুলি বিছানায় শুয়ে তাদের আগামীর ভাবনা চিন্তা করতে থাকেন। অনেক সময় লেগে যায় এবং সহজে ঘুম আসেনা। এটি তাদের জিনিয়াস হওয়ার একটি লক্ষণকারণ তারা সমস্যার সমাধান করতে চান। বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে তাদের উপায় গুলো বের করতে চান।
নিজে নিজে কথাবার্তা বলা:
ভাবনাচিন্তার মধ্যে দিয়ে
নিজে নিজে কথাবার্তা বলা। এটি শুনে হয়তো পাগলামি বলে মনে হবে, কিন্তু যিনি মনস্তাত্ত্বিকভাবে এটা দেখা গেছে যারা নিজেদের সঙ্গে নিজেরা কথা বলে তারা নিজেদের সমস্যার জট নিজেরাই নিজেদের সঙ্গে আলোচনা করে সলিউশন করতে পারেন। এবং তাই কোন সমস্যা হলে তারা মুখে কথা বলে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেন।এটি একটি অভিনব একটি বিষয় তবে এটি জিনিয়াস হওয়ার একটি লক্ষণ।