ঘরোয়া উপায় যার মাধ্যমে খুব স্বাভাবিকভাবেই চুল গজানোর পদ্ধতি
চুলপড়া অনেক কারণে ঘটতে পারে এবং তার সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া কখনোই সম্ভব নয়। আপনার খাবার দাবারের কারণে, আপনার চুলের যত্ন না করার কারণে এবং আপনার প্রত্যেক দিনে কাজের উপর নির্ভর করে। চুল পড়তে পারে, আপনি যদি খুব স্ট্রেস পূর্ণ লাইফস্টাইল জীবনযাপন করেন, তাহলে চুল পড়া আপনার আরো বাড়বে। আপনি যদি এই চুল পড়া বন্ধ করতে চান এবং সমাধান খুঁজে থাকেন তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে দেখুন, এখানে আমরা আলোচনা করব চুল পড়া রোধ করার কিছু পদ্ধতি নিয়ে।
চুলপড়া এমন একটি বিষয় যা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে, কয়েকটি নির্দিষ্ট তথ্য বলে কখনোই চুল পড়ার সঠিক সমাধান করা যায় না। এখানে আমরা আলোচনা করবো কিছু পদ্ধতি তার সঙ্গে আপনার দৈনন্দিন লাইফস্টাইল এবং খাওয়া-দাওয়া পরিবর্তন করতে হবে সঠিক ফল পাবার জন্য। প্রথমেই বলে রাখা ভালো চুল আর্টিফিশিয়ালি তৈরি করার জন্য বা কেমিক্যাল এর প্রয়োগ করে এখন চুল নতুন করে গজানো যায়, কিন্তু এটা কখনোই নিরাপদ পদ্ধিতি নয়।
আপনাকে ঘরোয়া উপায় যার মাধ্যমে খুব স্বাভাবিকভাবেই চুল গজানোর জন্য এই পদ্ধতি গুলি আপনি অনুসরণ করে দেখতে পারেন-
Jojoba Oil-জোজোবা তেল:
প্রথমেই শুষ্ক স্কিনের যত্ন নেওয়ার জন্য আপনাকে জোব্বা তেলের ব্যবহার করতে হবে।আপনি যদি চুল পড়ার সঠিক সমাধান খোঁজে তাহলে এখনি আপনার মাথার ত্বকের ওপর সুস্বাস্থ্যের জন্য Jojoba তেল লাগাতে হবে, যাতে আপনার খুশকি রোধ হয়। এবং খুশকি রোধ হলে আপনার ত্বক গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন।
এর ফলে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।কিভাবে ব্যবহার করবেন সপ্তাহে দুবার স্নান করার আগে ভালো করে এই তেল দিয়ে আপনার মাথার ওপরে ভালো করে হালকা চাপ দিয়ে মেসেজ করবেন। আর তাহলেই কয়েকদিন করার পর থেকেই আপনি ফল পেতে শুরু করবেন।
কারিপাতা:
আপনি হয়তো আপনার বাড়িতে যদি কোন বয়স্ক মহিলা থাকেন তাহলে আপনি শুনে থাকবেন যে, কারি পাতা কিভাবে চুলের জন্য উপকারী। আর এখন আমরা সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছি। আপনার বাড়ির সেই বয়স্ক লোকটি ঠিকই বলেছিলেন কারণ এতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন বি সমৃদ্ধ। পাতাগুলি আপনার চুলের জীবন শক্তি প্রদান করে। আপনার চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে এবং আপনার চুল ঘন এবং মজবুত হয়। চুল পড়া আটকানোর জন্য, আপনি এটিকে ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহার করুন মাথার ওপর এবং এই পাতার ওপর পেস্ট করে লাগান। এই পাতার পেস্ট লাগানোর পর কুড়ি থেকে ত্রিশ মিনিট এভাবেই বসে থাকুন। আর তারপর সেটি ধুয়ে স্নান করে ফেলুন।
কিভাবে লাগাবেন, সপ্তাহে অন্তত একবার এই পদ্ধতিটি করুন আপনি দেখবেন আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং আরো ভালোভাবে হবে।
ডিম:
ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি জিনিস, যা আপনাদের আমাদের সামগ্রিক জীবনের জন্য প্রচুর কাজে লাগে। আর এই প্রোটিনের উৎস টিকে আপনি সরাসরি চুলের গোড়ায় দিন।আপনি কাঁচা ডিম সরাসরি চুলের গোড়ায় লাগান। একটি পাত্রে ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। কমপক্ষে 10 মিনিট রাখুন তারপর ধুয়ে ভালো করে শ্যাম্পু করে স্নান করে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ করতে সপ্তাহে একবার ভালো করে। এই পদ্ধতিটি করুন আপনি পার্থক্য দেখতে পাবেন।
পেঁয়াজের রস:
পেঁয়াজের রস সম্পর্কে আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, আর এটা আপনি এর আগেও হয়ত ব্যবহার করে থাকবেন, কারণ এটা খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। তবে এটা খুবই কাজের পেঁয়াজের গন্ধ আপনার ভালো না লাগলেও আপনি যদি চুলে প্রতিদিন পেঁয়াজের রস লাগান। তাহলে একটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করবে। আপনার মাথার ত্বকে সংক্রমণ রোধ করবে, এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে এর ফলে একটি দুর্দান্ত কাজ করবে।
আপনার চুলের মধ্যে আপনি সপ্তাহে অন্তত দুবার পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় লাগান।সরাসরি পিয়াজ কেটে সেটাকে পেস্ট করে কুড়ি 30 মিনিট চুলের গোড়ায়, তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। আপনি কয়েক দিন করলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার চুলের গোড়া শক্ত হয়েছে।