কাশি থেকে মুক্তি পাবার কিছু ঘরোয়া উপায়
কাশি খুবই সাধারণ একটি সমস্যা । আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সকলেরই প্রায় কিছু না কিছু সময় কাশি হয়ে থাকে । কাশি খুব সাধারন সমস্যা হলেও এটি প্রায়ই খুব সমস্যা সৃষ্টি করে । ডাক্তারি মতে সাধারণত কাশি একটি প্রাকৃতিক সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রায় 40 শতাংশ মানুষ কাশিতে আক্রান্ত হন
মূলত এলার্জির, ভাইরাল ইনফেকশন আর ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন থেকে।
কাশি হয়ে থাকে ডাক্তারের পরামর্শের পাশাপাশি আপনি কাশির হাত থেকে মুক্তি পাবার জন্য অন্যান্য কিছু ঘরোয়া উপায়ে করতে পারেন । এখানে আমরা কিছু ঘরোয়া উপায়ে তুলে ধরলাম । আপনাদের
এখানে আরো কিছু ঘরোয়া উপায়ে তুলে ধরলাম -
মধু:
মধু অতি প্রাচীনকাল থেকেই কাশির জন্য আমাদের বিশেষ উপযোগী। বহু সময় থেকেই বিশুদ্ধ রূপে মধুকে আমরা ব্যবহার করে আসছি । মধুর ব্যবহার গলা ব্যথায় খুব উপমেয়, এটি উপকারী গলার ব্যথা উপশমে খুবই উপকারী । আপনি খুব সহজেই মধু দিয়ে আপনি নিজেই ঘরোয়া কিছু উপায় কাশি নিরাময় করতে পারেন। আপনি দু চামচ মধু সকালে চা অথবা গরম জলের সঙ্গে পাতি লেবু দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে পান করতে পারেন। আপনি চাইলে শুধু মধু খেতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন 12 মাসের নিচে বাচ্চাদেরকে মধু খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ অবশ্যই নেবেন।আদা:
আদা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী উপকরণ । কাশি সর্দি মাথাব্যথা প্রভৃতি সমস্যার জন্য অন্যতম বৈশিষ্ট্য হাঁপানি রোগের জন্য উপকারী। আদা দিয়ে আপনি খুব সহজেই ঘরোয়া উপাদান তৈরী করতে পারেন এবং কাশির উপকার করতে পারেন।আদা দিয়ে আপনি খুব সহজেই ঘরোয়া উপকরণ তৈরি করে কাশির উপশম করতে পারেন। এক কাপ গরম চা এবং তার সঙ্গে এক চামচ আদার রস সাথে গোলমরিচ গুঁড়ো চা চিনি মধু আর একটা তেজপাতা দিয়ে মিশিয়ে গরম জলে ফুটিয়ে দুবেলা খেলে কাশি থেকেই অনায়াসেই স্বস্তি মেলে।
হলুদ:
আমরা জানি হলুদ অ্যান্টিসেপটিক রূপে সুপ্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে।কোথাও হঠাৎ কেটে গেলে আমরা হলুদ লাগাই। সেইরকমই শরীরে ব্যথা পেলেও হলুদ খুব ভালো লাগে। বহু বহু যুগ ধরে হলুদ শ্বাসযন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলুদকে ঘরোয়া উপায়ে আপনি খুব সহজেই ব্যবহার করে কাশির হাত থেকে রক্ষা পেতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধে চার চামচ হলুদ মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি স্বস্তি পাবেন।উষ্ণ নুন জলের গারগেল:
গারগেল অতি সহজ এবং সরল একটি ঘরোয়া উপায়ে ডাক্তার অনেক সময় গলায় ব্যথা হলে উষ্ণ গরম জলে একটু লবণ ফেলে গারগেল করতে বলেন। উষ্ণ লবণ জলের সঙ্গে গার্গল করলে কাশির সাথে গলা ব্যথার অনেকটা গলার ব্যথা ঠিক হয়ে যায়। গলার ব্যথা ইনফুলেনজা কমাতে ব্যবহার করে আপনি এক গ্লাস উষ্ণ গরম জলে 1-2 চামচ লবণ মিশিয়ে দিনের। যেকোনো সময় ব্যবহার করে গারগেল করতে পারেন।তুলসী:
তুলসী অতি প্রাচীন কাল থেকেই মূল্যবান হার্বাল হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ডাক্তারি মতে তুলসী গাছের পাতা স্লেস্সা, এস্থেমা ও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন এও মুক্তি দিতে পারে।আপনি কিছুটা তুলসী পাতা বেটে তাতে কিছুটা মধু মিশিয়ে উষ্ণ গরমজল এ দিনে দুবার পান করতে পারেন।